ওমানের কাছে ৩-০ গোলে হারার পরও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশ !

 

 ‘ই’ গ্রুপ পর্বের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের ছয় ম্যাচের মধ্যে চার ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ ড্র’তে গ্রুপে পঞ্চম অবস্থান বাংলাদেশের । ওমানের কাছে সবশেষ ম্যাচে ৩-০ গোলে হারে লাল-সবুজের বাংলাদেশ । তারপরও বাংলাদেশকে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের প্লে-অফ খেলতে হচ্ছে না  । সেরা তিনে থাকায় সরাসরি বাছাই পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে সব গ্রুপের পঞ্চম হওয়া দলগুলোর মধ্যে । এশিয়ান কাপে বাছাইপর্ব খেলবে বাংলাদেশ ৩৫ নম্বর দল হিসেবে ।

আগের ফরম্যাট অনুযায়ী এএফসির আট গ্রুপের মধ্যে চতুর্থ স্থান পাওয়া আট দলের মধ্যে তলানির চার দল এবং পঞ্চম হওয়া আট দল, মোট ১২ দল নিয়ে হতো প্লে-অফ। সেই হিসেবে বাংলাদেশের প্লে-অফ খেলার কথা ছিল  ।

বাছাইয়ের পর্বের দ্বিতীয় ধাপে ‘ডি’ গ্রুপে ইয়েমেন ৫,‘এফ’ গ্রুপে মিয়ানমার ৬,  ‘জি’ গ্রুপে ইন্দোনেশিয়া ১, ‘ই’ গ্রুপে বাংলাদেশ ২, ‘সি’ গ্রুপে কম্বোডিয়া ১, ‘বি’ গ্রুপে চাইনিজ তাইপে ০ এবং ‘এ’ গ্রুপে গুয়াম ০ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থেকে শেষ করে। তবে গতকাল এএফসি নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিচের সারিতে থাকা দলগুলোর মধ্যে সবার নিচে থাকা চার দলকে প্লে-অফ খেলতে হবে মূল বাছাইয়ে জায়গা পেতে । যার ফলে পঞ্চম স্থান পাওয়া দলগুলোর মধ্যে উপরে থাকা তিন দল ইয়েমেন, মিয়ানমার, ও বাংলাদেশ সুযোগ পাচ্ছে সরাসরি বাছাইয়ে খেলার। মূল পর্বে জায়গা পাওয়ার জন্য বাকি দুই টিকেটের জন্য চাইনিজ তাইপে, ইন্দোনেশিয়া,  গুয়াম ও কম্বোডিয়াকে  খেলতে হবে প্লে-অফ।

এএফসি ও বিশ্বকাপ কাপ বাছাইপর্বে ১ থেকে ১৩ হওয়া দলগুলো খেলবে বিশ্বকাপের বাছাই ও এশিয়ান কাপের মূলপর্বে। ১৪ থেকে ৩৫ নম্বর দল এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে সরাসরি অংশ নেবে ।

এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব হবে ২৪ দল নিয়ে । হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ৬ গ্রুপে ভাগ হয়ে অংশ নেবে দলগুলো। সে হিসেবে ৬টি করে ম্যাচ পাবে প্রতিটি দল । আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে গুরুত্ব পূর্ণ এক পয়েন্টই বাংলাদেশকে এই সুযোগ করে দিয়েছে বলে মনে করেন ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে।

এই সংবাদ পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এটি দারুণ খবর। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পয়েন্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওই ১ টি পয়েন্টের জন্যই আমরা বাছাই পর্বে সরাসরি আসতে পারলাম। আর তা না হলে প্লে অফের মত জটিলতায় পড়তে হতো।’

গতবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে অফ পর্বে দুই দফা হেরেছিল বাংলাদেশ । প্রথমটি তাজিকস্তানের বিরুদ্ধে পরের টা ভুটানের বিরুদ্ধে। ভুটান বিরুদ্ধে হারার পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে ১৬ মাস বাইরে ছিল বাংলাদেশ । বাংলাদেশ সেই ১৯৮০ সালে কুয়েতেই প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্ব খেলেছিল। এরপর আর কোনদিন মূল পর্বে খেলতে পারেনি। মাঝে এশিয়ান কাপের বাছাইতেও অংশ নিতে পারেনি। তবে এখন আবার বাছাইতে ফিরছে বাংলাদেশ দল ।