টোকিও অলিম্পিকে করোনা হানা দেয়ায় নিয়ম খুব কঠোর করা হয়েছে । এই কঠোর নিয়মের মধ্যে পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগ করে নেয়াও কঠিন । সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মুসলিম অ্যাথলেটরা টোকিওতে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই সীমিতভাবে ঈদ উদযাপন করেছেন।
অ্যাথলেটরা দিনের পর দিন কঠোর অনুশীলন করে টোকিও অলিম্পিকে এসেছেন । খুব স্বাভাবিকভাবেই করোনা মহামারির মধ্যে অ্যাথলেটরা ঈদ উদযাপনের সুযোগ পাননি। শুভেচ্ছা যা বিনিময় করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন প্লাটফর্ম এ খুদে বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে করতে হয়েছে।
করোনাভাইরাস নিয়ে বিধিনিষেধের কারণে টোকিও অলিম্পিক ভিলেজের সঙ্গে এবার বলতে গেলে টোকিও শহরের কোনো সংযোগই নেই । মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সেখানে বাধ্যতামূলক।
তাই মুসলিম অ্যাথলেটরা অলিম্পিক ভিলেজে ঈদের নামাজ আদায়ের সময় মুখে মাস্ক পরে ছিলেন। এ নিয়ে একটি টুইট করে জর্ডান অলিম্পিক কমিটি ।
সেখানে একটি ভিডিওতে অ্যাথলেট এবং অন্যদের মাস্ক পরে নামাজ আদায় করতে দেখা যায় । জুতা ও খেলাধুলার কাপড় পরেই নামাজ আদায় করেন তারা। জর্ডান অলিম্পিক কমিটির পক্ষ থেকে টুইটে বলা হয়, ‘অ্যাথলেটদের ভিলেজে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন ইসলামিক দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।’
সাধারণত নামাজে জায়নামাজ ব্যবহারের রীতি থাকলেও পাথরের মেঝেতেই নামাজ আদায় করেন অ্যাথলেটরা । আবার অনেকে সৌদি ব্র্যান্ডের ট্র্যাকস্যুট পরেছিলেন। জর্ডানের ও মরক্কো প্রতিনিধিরা মিষ্টান্ন বিতরণ করেন।
মুসলিম অ্যাথলেটরা বাইরে কঠোর বিধিনিষেধ থাকলেও অনলাইনে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে যাননি । তুরস্কের নারী ভলিবল দল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘টোকিও থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।’
অলিম্পিক শরণার্থী দলের হয়ে টোকিও সংস্করণে অংশ নিয়েছেন ইরাক, ইরান,সিরিয়া ও আফগানিস্তানের অ্যাথলেটরা । মুসলিম অ্যাথলেটদের ঈদ উদযাপন করা নিয়ে অলিম্পিক সংহতি কমিটির পরিচালক জেমস ম্যাকলিওড বলেন, ‘মুসলিম অ্যাথলেটরা ঈদ উদযাপন করতে পারায় আমরা আনন্দিত। করোনার বিধিনিষেধের কারণে হয়তো উৎসব করা সম্ভব হচ্ছে না, তারপরও অ্যাথলেটরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঈদ উদযাপন করেন।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
If you have any doubts,Please let me know.