২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব উতরাতে না পারায় দর্শক হয়েই থাকতে হয়েছে ইতালির। তারপরের গল্পটা অন্যরকম। সব ব্যর্থতা ঝেড়ে সামনেই এগিয়েছে ইতালি। তার ফল হিসেবে বড় মঞ্চে ইতালিয়ানদের প্রত্যাবর্তন হলো রাজসিক। ইউরো ২০২১ এর উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্ককে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রবার্তো মানচিনির দল।
২০১৮ বিসশকাপের বাঁচাই পর্বে ব্যর্থ হওয়ার পরই ইতালির কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন মানচিনি । মানচিনির অধীনে টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত ইতালি। ইউরোর মঞ্চে উদ্বোধনী ম্যাচে ইতালির ৩-০ গোলের জয়টাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাতে পাত্তাই পায়নি তুরস্ক।
খেলার প্রধমার্ধে ইতালিকে আটকে দিলেও বিরতির পর আর পারেনি তুর্কিরা। ইউরোর আগে টানা
আট
জয়ের
আত্মবিশ্বাস
নিয়ে
শুরু
করা
ইতালি
প্রধমার্ধে
গোলের
উদ্দেশ্যে
অন টার্গেটে নেয় ১৪ শট, যার ৩টি ছিল লক্ষ্যে। তুরস্ক বিরতির
পর
আর
নিজেদের
রক্ষণ
জমাট
রাখতে
পারেনি
। উল্টো নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে গোল উপহার দেয় ইতালিকে
। খেলার ৫৩তম মিনিটে
আত্মঘাতী
গোলে
লিড
নেয়
। ম্যাচের শুরু
থেকে
দারুণ
খেলতে
থাকা
দমিনিকো
বেরার্দি
ডি-বক্সে
ঢুকে
ডান
দিক
দিয়ে
সতীর্থের
উদ্দেশে
ক্রস
বাড়ান। কিন্তু গোলমুখে ডিফেন্ডার দেমিরালের শরীরে লেগে বল চলে যায় গোললাইন পেরিয়ে।
পরে ৬৬তম
মিনিটে
ব্যবধান
দ্বিগুণ
করে
ইতালি। বেরার্দির বাড়ানো বল পেয়ে স্পিনাজ্জোলার শট ঝাঁপিয়ে ফেরালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি তুর্কীর গোলরক্ষক। কোন বাধা ছাড়াই আলতো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন লাজিও ফরোয়ার্ড চিরো ইম্মোবিলে। আর দারুণ
এক
গোলে
৭৯তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান লরেন্সো ইনসিনিয়ে । সতীর্থের পাস ডি-বক্সে বাঁ দিকে পেয়ে কোনাকুনি জোরালো শটে বল জালে পাঠান তিনি।
ইতালি এই
প্রথম
ইউরোর
মূল
পর্বে
তিন
গোলের
দেখা
পেল
। সর্বশেষ
১৯৮৯-৯০
এর
পর
দ্বিতীয়
সর্বোচ্চ
টানা
৯ ম্যাচে
জাল
অক্ষত
রাখল
দলটি
। ত্রিশ বছর
আগের
ওই
সময়ে
টানা
১০
ম্যাচ
জাল
অক্ষত
ছিল
তাদের।
অন্যদিকে বড় কোন টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তুরস্কের ব্যর্থতা আরও দীর্ঘ হলো। এই
নিয়ে
সাত বিশ্বকাপ
ও ইউরো
আসরের
প্রতিটিতেই
হেরে
শুরু
করল
দলটি। অন্তত বড় তিনটি আসরে খেলেছে তুরস্ক, কিন্তু প্রথম ম্যাচে জিততে না পারা একমাত্র দল তারাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
If you have any doubts,Please let me know.