কোপায় উড়ন্ত সূচনা করলো ব্রাজিল। ব্রাজিলের গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। নেইমার ১ গোল করার পাশাপাশি বাকি দুইটি গোলেও ভূমিকা রেখেছেন। ব্রাজিলের অন্য দুই গোলদাতা মার্কিনিওস ও গাব্রিয়েল বারবোসা।
এমনিতেই ভেনেজুয়েলার মূল দলের নয়জন খেলোয়াড় ছিলেন না করোনার কারণে ।ভেনেজুয়েলা লাতিন আমেরিকার দুর্বলতম দলগুলোর মধ্যে একটি, তারওপর করোনার এমন আঘাতে আরও বেশি দুর্বল হয়েই মাঠে নেমেছিল নেইমারের উজ্জ্বল ব্রাজিলের সামনে!
ভেনেজুয়েলাকে ম্যাচের শুরু থেকেই চেপে ধরে ব্রাজিল। কিন্তু দুর্বল ফিনিশিংয়ের কারণে গোল পাচ্ছিলো না ব্রাজিল । এই ম্যচে নেইমার শুধু গোল করিয়েছেন বা করেছেন সেটাই নয়, বরং গোল মিসের মহড়াতেও নেইমার ছিলেন সবার চেয়ে এগিয়ে। নেইমার যতগুলো গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন, অন্তত ৩-৪ টা গোল হয়ে যেত তাঁর। কিন্তু
সেটা হয়নি।
এদিন নেইমারের নেওয়া এক কর্নার থেকে ম্যাচের ২৩ মিনিটেই ভেনেজুয়েলার ডিফেন্সের জটলার মধ্যে গোল করে বসেন পিএসজির ডিফেন্ডার মার্কিনিওস। প্রথম
৪৫ মিনিট নেইমারের মিসগুলোর পাশাপাশি বলার মতো ঘটনা এই একটাই।
মাঝমাঠে কাসেমিরো
ও ফ্রেডের
পাশাপাশি সৃষ্টিশীল মিডফিল্ডার হিসেবে লুকাস পাকেতাকে খেলানো হলেও হতাশ করেছেন লিওঁর এই তারকা।
রাইটব্যাক দানিলোকে খেলার ৬৪ মিনিটে ডিবক্সের মধ্যে ফেলে দেন ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডার। সেখান থেকে পাওয়া পেনাল্টি শট নিয়ে গোল করতে মোটেও সমস্যা হয়নি নেইমারের।
এই গোল
নিয়ে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ১০৬ ম্যাচে ৬৭ গোল করা হয়ে গেল নেইমারের। পিএসজির এই ফরোয়ার্ড
আর মাত্র ১০ গোল করলে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে কিংবদন্তি পেলের পাশে বসে যাবেন । নেইমার ৬৭ গোল করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে গোল করিয়েছেন আরও ৪৭টি। অর্থাৎ নেইমার ১০৬ ম্যাচ খেলে ১১৪টি গোলে সরাসরি ভূমিকা রেখেছেন।
রবিবার রাতের ম্যাচে নেইমারের গোলের পরই রিচার্লিসন
কে তুলে নিয়ে গাব্রিয়েল বারবোসাকে নামান ব্রাজিল কোচ তিতে। ম্যাচের অন্তিম
মহুরতে ৮৯ মিনিটে নেইমারের ক্রস বুক দিয়ে জালে ঠেলে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলেন ব্রাজিলের এই স্ট্রাইকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
If you have any doubts,Please let me know.